জাহিদুল ইসলাম, দুমকি (পটুয়াখালী)
দুমকি প্রতিনিধিঃ সড়ক দুর্ঘটনায় বাম পায়ে গুরুতর আহত হয়ে দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা খরচ মেটাতে নিঃস্ব হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার ভ্যান চালক মোঃ আলমগীর শরীফ(৫০)। তার পক্ষে এখন আর চিকিৎসা খরচ যোগানো সম্ভব নয়। এছাড়াও তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত পঙ্গু আলমগীর হোসেন শরীফ উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়র্ডের পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের বাসিন্দা।
রবিবার (১৬ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আলমগীর শরীফ গত ২০২৪ সনের ২০ জানুয়ারি উপজেলার দুমকি থানা ব্রীজের পূর্ব পার্শ্বে লেবুখালী- বাউফল মহাসড়কে পেছন থেকে একটি অটোগাড়ি তার ভ্যানকে ধাক্কা দিলে সামনে থাকা অপর একটি টমটমের সাথে সংঘর্ষ হয়।
এতে তার বাম পায়ের হাঁটুর হাড় ভেঙে ২২ টুকরা হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শ্যামলী ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওই সময় তার বাম পায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বিপুল অর্থ ব্যয় হয় তার। তবুও তিনি পরিপূূর্ণ সুস্থ্য না হলে শেষ সহায় সম্বলটুকু বিক্রি করে নিংস্ব হয়েছেন তিনি। চিকিৎসক জানিয়েছেন অতিদ্রুত তার পায়ের আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।
পঙ্গু আলমগীর হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ভাঙ্গা পা নিয়ে সবসময় শুয়ে বসে থাকতে হয়। কি খাব আর কি দিয়ে পায়ের চিকিৎসা করাবো তা বুঝতে পারছি না। সমাজের বিত্তবানসহ সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। আমার মোবাইল নাম্বার- ০১৭৯৪৪০৫০৪৪ নগদ এবং ০১৩৩৪০৮৩৮১বিকাশ এ সাহায্য করার অনুরোধ করছি ।
পূর্ব কার্তিকপাশা গ্রামের নূর মোহাম্মদ ও রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য প্রতিবেশিরা জানান, ভ্যান চালিয়ে আলমগীরের ৬ সদস্যের পরিবার ভালোই চলতো। কিন্তু মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা আলমগীরের জীবন এলোমেলো হয়ে গেছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত সহযোগীতা করেছি। সমাজের বিত্তবানগন তার পাশে দাঁড়ালে পরিবারটা বেঁচে যেতো।
এব্যাপারে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, পঙ্গু আলমগীর হোসেন আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মুল্যবান মন্তব্য এখানে লিখতে পারেন। ধন্যবাদ।