শিরোনাম

Header Ads Widget

অপরাধ দমনে শ্রেষ্ঠ হলেন সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো: ইবাদুল্লাহ

 

অপরাধ দমনে শ্রেষ্ঠ হলেন সিলেটের বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির  আইসি মো: ইবাদুল্লাহ


এমদাদুর রহমান চৌধুরী জিয়া, সিলেট

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ এসএমপির একটি ব্যস্ততম শহর নগরীর বন্দর বাজার এলাকা। বন্দরনগরী মেট্রোপলিটন এলাকায় হলেও সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহরের চাপ নিতে হয় বন্দর নগরীকে। বড় বড় শপিং মহল গুলো এখানে থাকায় বিভাগের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেটও মৌলভীবাজার চারটি জেলার ৩৮ টি থানার ও১৮ টি পৌরসভার মানুযের চাপ নিতে হয় বন্দরনগরী কে। 

তাছাড়া হযরত শাহজালাল রহমাতুল্লাহ আলাইহি ও শাহ পরাণ রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর জিয়ারত কে উপলক্ষ করে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষজন ভীড় জমায় এই শহরে। রাতারগুল জাফলং আসা দর্শনীয় স্পটে আসা এসহ লোকজনও নিরাপত্তা জনিত কারণে এই শহরের আবাসিক হোটেল- গুলোতেই অবস্থান করে। অবস্থান করে বাণিজ্যিক কারণে আশা ব্যবসায়ী গণ। নগরীর কালীঘাট এলাকায় পণ্য বাহী ট্রাকগুলোর শৃঙ্খলা ও যানজট এরাতেই হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। 

এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বড় বড় ভার্সিটিগুলোর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। বিভাগের শহর হিসেবে বিভিন্ন ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো সিলেটেই হয়ে থাকে। তাছাড়া রাজনৈতিক সভা সমাবেশ তো আছেই।

বন্দর নগরীতে এসপি,ডিসি, সিটি কর্পোরেশন,বাংলাদেশ ব্যাংক এর শাখা, বিআরটিএ, সিলেটের আদালত পাড়ার মত জন গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম প্রতিষ্ঠানসমূহের অবস্থান। রয়েছে সকল বিজনেস সেন্টার ও।আবাসিক এলাকায় বেশিরভাগ ভিআইপিদের বসবাস। 

তাছাড়া দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, প্রতিটি পয়েন্টে বিশেষ করে ক্বীন ব্রিজ এলাকা,পরিবহন স্ট্যান্ড গুলো,করিমুল্লা মার্কেট, আলহামরা সহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানও ব্যাংক সমূহের বুতএর সামনে টহল জোরদার করা। 

বন্দর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যেমন রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাব ও চাপ, তেমনি রয়েছে ফুটপাত দখল প্রবণতা,।

রাস্তায় যানজট সৃষ্টি, ছিনতাইকারীদের বয়াল কালো থাবা, মাদক সেবীদের উশৃঙ্খলতা, পরিবহন শ্রমিকদের যেখানে সেখানে গাড়ি রেখে প্রতিবন্ধকতা ও স্বেচ্ছাচারিতা। অসামাজিক কার্যকলাপের স্বভাব ও প্রভাব। মাদকের বিষাক্ত ছোবল, মোবাইল চুরি, চলমান রিস্কা থেকে ব্যাগ চুরি , ঝাপটা পার্টিদের উপদ্রব,সিএনজি যোগে ভাসমান যাত্রী বেশি ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পাঠির সদস্যদের উৎপাত, দোকান চুরি, ব্যবসায়ী -কর্মচারী দ্বন্দ্ব, হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণ ও নির্যাতন। 

নানা রকম অপরাধ প্রবণতাওপ্রভাবশালী ও রাজনৈতিক লিডার ক্যাডারদের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা বিশেষ করে মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, ছিনতাইকারীদের পাকরাও করা সহ নানা বিষয়ে অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা পালন করায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সম্প্রতি এস এমপির হেডকোয়ার্টার্সের কনফারেন্স হলে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পুলিশ পরিদর্শক( এস আই ) ইবাদুল্লাহ কে সনদ পত্র ও নগদ অর্থ তোলে দেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো: রেজাঊল করিম
পিপিএম সেবা।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( সদর ও প্রশাসন) মু:মাসুূদ রানা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ( ক্রাইম এন্ড অপস) বশির আহমদ, উপ পুলিশ কমিশনার ( অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) তোফায়েল আহমদ সহ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এস এম পি) এর সিনিয়র কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ গন উপস্থিত ছিলেন।

ইবাদুল্লাহ ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকারের সময়কালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন।
দীর্ঘ পাঁচ থেকে ছয় মাস যাবত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানা এলাকার বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

নামে বন্দর ফাঁড়ি হলেও ৫ আগস্ট কাণ্ডেও এর রায়হান হত্যাকাণ্ডে লন্ডভন্ড বন্দর ফাঁড়ি।
যে কারণে ক্রাইম কন্ট্রোল করতে গিয়ে চলমান দায়িত্ব পালন করেই যাচ্ছেন ( যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে) বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি ইবাদুল্লাহ ও অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্সরা।

ইবাদুল্লাহ ইতিপূর্বে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিলেট জেলা পুলিশে দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কর্তব্য পালন করেছেন সুনামের সাথে ।

বর্তমানে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় কর্মরত আছেন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে।

তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাবো থানায়। তিনি সেখানকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার পরিবারে রয়েছে একাধিক চাকুরিজীবী।

কাজের স্বীকৃতির বিশেষ কারণ জানতে চাইলে মুঠোফোনে এসআই ইবাদুল্লাহ জানান, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ছিনতাইকারীদের তৎপরতা এড়াতে ও ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে তিনি ব্যস্ত ।

তবে তিনি বলেন, কাজের বিনিময়ে খাদ্যের কথা বলেন। বলেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্যই আমাদেরকে বেতন দেওয়া হয়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার স্যার সহ সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিক সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি সকলের সহযোগিতায় বন্দর এলাকায় ক্রাইম কন্ট্রোলে আমি কাজ করে যাচ্ছি।

সনদপত্র ও নগদ অর্থ প্রদানে মাধ্যমে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এস আই ইবাদুল্লাহকেএস এম পির স্বীকৃতি দেয়ার তথা স্বীকার করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া মো: সাইফুল ইসলাম। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ