মো. জহিরুল ইসলাম, কুয়াকাটা।
মৎস্য বন্দর মহিপুরের লতিফপুর গ্রামের জেলে বেলাল মাঝির জালে ধরা পড়লো ১৯ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের বড়ো একটি কোরাল মাছ। গত ১১ মার্চ সকাল ৮ টায়দিকে মৎস্য বন্দর মহিপুর থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রের রওনা দিয়ে যায় দীর্ঘ ৫ দিন গভীর সমুদ্রে তারা মাছ শিকার করে। বেলাল মাঝি তার ট্রালার নিয়ে সুন্দর বন এলাকার দুবলার চরের কাছাকাছি গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে ১৫ মার্চ বিকাল ৫ টার দিকে তখন মাছটি ধরা পরে জালে।
জেলে বেলাল মাঝি (৫০) দীর্ঘ ৩০ বছর জাবদ এই পেশায় কাজ করে আসছেন । তার এই দীর্ঘ জেলে জীবনে অনেক বড়ো বড়ো মাছ শিকার করার সুযোগ হয়েছে লাটকা,ভোল,কোরাল, পাখি মাছ সহ অনেক বড়ো মাছ। এর আগেও আমরা এমন কোরাল মাছ পেয়েছি কিন্তু তার ভিতর এটাই আমার কছে বড়ো কোরাল মাছ মনে হয়েছে। মাছটি ধরা পড়ায় আমরা অনেক খুশি কারণ সবসময় এমন বড়ো মাছের তেমন দেখা মিলে না আশা করি ভালো মূল্যে মাছটি বিক্রি করতে পারবো।
বেলাল মাঝি (১৬ মার্চ) রবিবার সকালে সমুদ্র থেকে ট্রলার নিয়ে মৎস্য বন্দর মহিপুর আসেন এবং ভালো মূল্যে মাছটি বিক্রির জন্য কুয়াকাটা মাছ বাজারে নিয়ে আসেন। এসময় মাছটিকে একনজর দেখার জন্য এলাকার মানুষ ভীড় জমায়।
কুয়াকাটা মাছবাজারে ঝুমা ফিসের মালিক মো. আব্দুস সোবহান মৃধার আড়দে মাছটি ডাকে বিক্রির জন্য দাম ধরা হলে ১২০০ টাকা কেজি দরে ১৯ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের কোরাল মাছটি মহিপুর ভাই ভাই ফিসের মালিক মো. হাসান মিয়া ২৩,৪০০ টাকায় কিনে নিয়ে জায়।
এসময় মো. হাসান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে মাছটি কি করবেন তিনি বলেন, কোরাল মাছ অনেক সুস্বাদু মাছ এটির জনপ্রিয়তা অনেক মাছি চট্টগ্রাম পাঠাবো বেশি মূল্যে বিক্রির জন্য। এই ধরনের বড়ো বড়ো কোরাল মাছ আমরা প্রায় সময়ী পাঠিয়ে থাকি চট্টগ্রাম শহরে। আমাদের দেশর বড়ো শহর গুলোতে যেমন এই ধরনের বড়ো মাছ বিক্রি হয় তেমনি দেশের বাইরে বিদেশে ও রপ্তানি হয়ে থাকে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন,
কোরাল মাছ বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছ। এর সুস্বাদু গুনের পাশাপাশি পুষ্টিগুনেও ভরপুর হওয়ায় এটি অনেক জনপ্রিয় খাবার। এটি পুষ্টির ভরপুর উৎস শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহয়তা করে। কোরাল মাছ সাধারণত মাঝারি আকারের হয়।
এর দেহ লম্বাটে ও সামান্য চ্যাপ্টা। সাধারণত ধূসর বা বাদামি রঙের হয়,যদিও কিছু প্রজাতির রং কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। কোরাল মাছ সাধারণত লোনা পানিতে বাস করে এরা মোহনা,নদীর মোহনা এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বেশি দেখা যায়। কোরাল মাছ ছোট মাছ,কাঁকড়া এবং অনন্য জলজ প্রাণী খেয়ে জীবন ধারণ করে।
তিনি আরো বলেন কোরাল মাছে পুচুর পরিমানে প্রোটিন রয়েছে যা শারীরের পেশি গঠ এবং কোষের বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কার্যক্রমে সহায়তা করে। প্রোটিনের অভাব দূর করতে এবং শারীরের শক্তি বাড়াতে এটি উপকারী। কোরাল মাছের মধ্যে (ওমেগা-৩ ফ্যাটি আ্যসিড) থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। কোরাল মাছে ভিটামি (ডি) এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মুল্যবান মন্তব্য এখানে লিখতে পারেন। ধন্যবাদ।