পিরোজপুরের কাউখালীতে বিভিন্ন সময় অসাধু চক্র সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নেয়ার সময় এলাকাবাসী বন বিভাগের সহায়তায় গাছগুলো জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত গাছগুলোর এক দশকেও হদিস মেলেনি বলে সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা। জানা গেছে, কাউখালী উপজেলায় ১৯৯৩-৯৪ সালে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা হয়।
এ উপজেলায় বিভিন্ন রাস্তা, ভেরীবাধ, সরকারি খাজ জমি, পতিত জমিসহ বিভিন্ন সড়কে সামাজিক বনায়নের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সামাজিক বনায়নের যাদের জমি সড়কের পাশে রয়েছে তাদেরকে সদস্য করে অংশীদারিত্বে চুক্তিভিত্তিক বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। সামাজিক বনায়নের গাছগুলো যখন বড় হতে থাকে একশ্রেণির অসাধু চোর চক্র বিভিন্ন অজুহাতে গাছগুলো কেটে নেয়।
এছাড়া বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বনায়নের গাছ রাস্তার উপরে পড়ে থাকলে সরকারিভাবে গাছগুলো কেটে স্থানীয়দের জিম্মায় রাখা হয়। পরবর্তীতের এ গাছগুলো কোন হদিস থাকে না বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
এ উপজেলার ছোট বড় শতাধিক সড়ক ও রাস্তাসহ বিভিন্নভাবে সৃজিত করা বনায়নের বড় বড় গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার হরিলুট চলছে। সম্প্রতি উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ায় বন বিভাগের সহায়তায় এর সাথে জড়িত এক ব্যক্তিকে পুলিশে হস্তান্তর করে।
এছাড়াও এ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেও নামমাত্র জব্দ করে পরবর্তীতে একসময় এগুলোও ভাগ বাটোয়ারা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ জানান, সামাজিক বনায়নের লক্ষ লক্ষ টাকার গাছ জিম্মায় রাখা হলেও কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারনে পরবর্তীতে গাছের কোন হদিস পাওয়া যায়না। বন বিভাগের কাউখালী উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইলিয়াস হোসেন জানান, জব্দকৃত কোন গাছের হিসাব আমার কাছে নেই। এ উপজেলায় আমি নতুন যোগদান করেছি, এ বিষয় আমার কিছু জানা নেই। নিয়মের ভিতরেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
0 মন্তব্যসমূহ
আপনার মুল্যবান মন্তব্য এখানে লিখতে পারেন। ধন্যবাদ।